কলাকুপা প্রচীন জমিদার বা রাজবাড়ীর অদূরেই রয়েছে কয়েকশো বছরের প্রাচীন খেলারাম দাতার কোঠা (Khelaram Datar Kotha) যা খেলারাম দাতার মন্দির হিসেবেও পরিচিত। অট্টালিকাটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল, সরকার একে গুরুত্বপূর্ণ পুরাকৃতি হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষনা দিয়ে অট্টালিকাটি সংস্কার করেছে। খেলারাম দাতার কোঠার স্থাপত্য নকশাটি খুবই মনোরম। নকশায় দেখতেও ঐতিহ্য নকশার ডিজাইন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে বিটল বিশিষ্ট পতিতালায় নয়টি করে কক্ষ রয়েছে প্রত্যেক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে অট্টালিকা টির চারপাশ দিয়ে প্রবেশ করা যায় এজন্য অট্টালিকার চারদিকে পাঁচটি করে প্রবেশদ্বার রয়েছে। অট্টালিকাটির উত্তর-পশ্চিম কোণে দ্বিতীয় তলায় ওঠার সিঁড়ি রয়েছে। দ্বিতীয় তলার ছাদে চার কোনায় চারটি গম্বুজ এবং গম্বুজ গুলোর মাঝখানে চারটি কুঁড়েঘর আকৃতির স্থাপনা দেশীয় সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটিয়েছে।
খেলাম দাদার কোঠার মাঝখানে মন্দিরের মতো সূসুউচ্চ মিনার উঁকি দিচ্ছে। লোকমুখে শোনা যায় খেলারাম দাতা তার মায়ের আদেশে এলাকার অনেক সেবা ও জনকল্যামূলক কাজ করেন। এর মধ্যে অত্র এলাকায় বিশুদ্ধ পানির জন্য পুকুর বাঁ দিকইখনন উল্লেখযোগ্য। খেলারাম দাতার কোঠার সম্মুখে রয়েছে একটি বিশাল দিঘী। খেলারাম দাদার এই অট্টালিকাটি দেখার জন্য অসংখ্য দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অট্টালিকা টির ভিতরের অংশ দেখানোর ব্যবস্থা করলে দর্শনার্থীরা আরো আনন্দিত হতো।